বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:০৬ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফে ফেরার পথে যাত্রীবাহী ট্রলারে মিয়ানমার থেকে গুলি

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

টেকনাফের সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে নাফ নদে একটি যাত্রীবাহী ট্রলার লক্ষ্য করে আবারও গুলি ছুড়ছে মিয়ানমার। এতে কোনো হতাহত না হলেও ট্রলারটির বিভিন্ন স্থানে গুলি লেগেছে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে আব্দুর রশিদের মালিকাধীন যাত্রীবাহী ট্রলারটি সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফে ফেরার পথে নাফ নদ ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় পৌঁছলে এই গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে।

সেন্টমার্টির সার্ভিস ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সকালে সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফ ফেরার পথে যাত্রীবাহী একটি সার্ভিসের ট্রলারকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। এতে ট্রলারে থাকা লোকজন নিচে শুয়ে পড়ে। এতে হতাহত না হলেও ট্রলারটির বিভিন্ন স্থানে গুলি লেগেছে। পরে ট্রলারটি শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাটে ভিড়ে যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। তবে মিয়ানমার থেকে সেদেশের বর্ডার গার্ড পুলিশ বিজিপি নাকি বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি গুলি চালিয়েছে সেটা এখনো পরিস্কার না। যদিও রাখাইন রাজ্যে অধিকাংশ আরাকান আর্মির দখলে বলে শোনা যাচ্ছে।

এ ঘটনার পর আবারও টেকনাফ-সেন্টমাটিন নৌরুটে আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে জানান তিনি।

ট্রলারের থাকা যাত্রী নাছির উদ্দিন বলেন, ‘সেন্টমার্টিন থেকে অসুস্থত মাকে নিয়ে কক্সবাজারে চিকিৎসার জন্য সার্ভিস ট্রলারে করে টেকনাফে রওনা করি। মাঝপথে শাহপরীর দ্বীপের ঘোলার চরের কাছাকাছি পৌঁছলে হঠাৎ করে মিয়ানমার থেকে গুলি বর্ষণ করে। এতে ট্রলারে থাকা ৫০-৬০ যাত্রী চিৎকার শুরু করে। অনেকে কান্নাকাটি করে ট্রলারের নিচে শোয়ে পরে। অন্তত ৫০ রাউন্ড মতো গুলি ছুঁড়ে। এতে ট্রলারে একটি কাঠ ভেঙ্গে পরে। মাঝখানে অনেক দিন বন্ধের পর টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে ফের গুলির ঘটনা ঘটে।’

সীমান্তে ট্রলারে গুলি বর্ষণের বিষয়টি খোঁজ খবর নেওয়া বলে জানিয়েছেন বিজিবির টেকনাফের ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী বলেন, ‘সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে ট্রলারে গুলি করার বিষয়টি এখন শুনেছি। বিষয়টি আমি খোঁজ খবর নিচ্ছি।’

এর আগে মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের জেরে ১ জুন বিকালে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা হওয়া পণ্যসহ ১০ যাত্রীর এক ট্রলারকে লক্ষ্য করে নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকা থেকে প্রথম বারের মতো গুলি বর্ষণ করা হয়। এরপর ৫ জুন সেন্টমার্টিনের স্থগিত হওয়া একটি কেন্দ্রে টেকনাফ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদের ফলাফল নির্ধারণের জন্য ভোট গ্রহণ হয়। আনুষ্ঠানিকতা শেষে ফেরার পথে দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেটসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ট্রলারকে লক্ষ্য করে একই পয়েন্টে ফের গুলি করা হয়। ৮ জুন আরও এক ট্রলারকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয় একই পয়েন্টে। ১১ জুন একটি স্পিড বোটকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ হয়। সর্বশেষ গত ১৭ জুলাই টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ বদরমোকাম এলাকার অতিক্রমের সময় ট্রলার ২ টিকে লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করা হয়েছিল। প্রতিটি গুলিবর্ষণের ঘটনাই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ জলসীমায় ঘটেছে। সূত্র:প্রতিদিনের বাংলাদেশ।
ভয়েস/জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION